বাংলাদেশ সরকার গণশুনানি ছাড়া বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর নিজস্ব ক্ষমতা বাতিল করেছে। নতুন এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এখন থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর আগে বিইআরসিকে গণশুনানি করতে হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের পথ প্রশস্ত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জারি করা একটি গেজেটে জানিয়েছে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন ২০০৩ এর ৩৪(ক) ধারা বাতিল করা হয়েছে। এই ধারাটি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যোগ করা হয়েছিল এবং এর মাধ্যমে সরকারকে গণশুনানি ছাড়াই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, এই ধারাটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যোগ করা হয়েছিল। এই ধারাটি বাতিল হওয়ার ফলে সরকার আর নিজের ইচ্ছামতো বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়াতে পারবে না। এখন থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিইআরসিকে গণশুনানি করতে হবে এবং জনমতের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, গণশুনানি ছাড়া বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে না। তার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নতুন একটি সংশোধনী আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই সংশোধনীর পর সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বা গ্যাসের দাম বাড়াতে চাইলে তাকে বিইআরসিতে প্রস্তাব দাখিল করতে হবে এবং এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিইআরসি গণশুনানি করে ৯০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।