বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ নিশ্চিত করেছেন যে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) যথাসময়ে শুরু হবে। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকেই টুর্নামেন্ট শুরু করার লক্ষ্য রয়েছে বিসিবির। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য দল গঠনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের জোয়ারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)ও নতুন অধ্যায়ের দ্বারপ্রান্তে। দেশে যে পরিবর্তনের ঝড় বয়ে গেছে, তার প্রভাব পড়েছে দেশের ক্রীড়া সংস্থাগুলোতেও। এই পরিবর্তনের ধাক্কায় সাবেক বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বোর্ডের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা লাপাত্তা হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন নেতৃত্ব দিতে সাবেক জাতীয় দলের অধিনায়ক ফারুক আহমেদকে বোর্ডের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। নতুন দায়িত্ব নিয়ে ফারুক আহমেদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি সফলভাবে আয়োজন করা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি ফারুক আহমেদ ক্রিকেটারদের স্বার্থ রক্ষায় বিসিবির গৃহীত পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন।
ফারুক আহমেদ বলেন, “যারা এখন আমাদের বোর্ডে নাই, তাদের কিন্তু দল ছিল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বা বিভিন্ন ডিভিশনে তাদের দল ছিল। ওই দলগুলি ক্ষতিগ্রস্থ। ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমরা চেষ্টা করছি, ক্রিকেটাররা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।”
তিনি আরও বলেন, “সবাই মিলে চেষ্টা করছি নতুন ব্যবসায়ীদের, নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় তাদের দল আছে কি না, অন্য দলগুলিকে যেন তারা সহায়তা করে। প্রতি দলে ২০-২২ জন ক্রিকেটার খেলে, তারা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কারণ প্রিমিয়ার লিগে ১২টি দল, এরপর অন্যান্য লিগ, সব মিলিয়ে ৭৬টি ক্লাব খেলে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে। দলগুলির মধ্যে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। যাদের ক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে যে অসুবিধা হবে, তাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছি।”
বিসিবি সভাপতির এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, বোর্ড পরিবর্তনের ফলে ক্লাব ক্রিকেটে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, সেটি পূরণ করতে বিসিবি সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। ক্রিকেটারদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখছে তারা।
ফারুক আহমেদের মতে, কিছু দল নতুন জোট গঠন করতে পারে আবার নাও করতে পারে। তিনি বলেন, “দু-একটি দল হয়তো দল গড়বে না। দল করবে কী করবে না, পুরোপুরি জানায়নি। তবে ধারণা করছি যে, তারা নাও দল গড়তে পারে।” এই পরিস্থিতিতে তিনি সব দলের সঙ্গে বসে আলোচনা করার কথা বলেছেন।
ফারুক আহমেদ আরও জানান যে, প্রথমে তারা সাতটি দলকে চূড়ান্ত করবে এবং পরবর্তীতে প্রত্যেক দলের মালিকের সাথে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করবেন। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো দক্ষ ও যোগ্য লোকদের খুঁজে বের করা।