বাংলাদেশের অর্জনের ঝুলি যেন পূর্ণ হয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে। লিটন কুমার দাস আর মেহেদি হাসান মিরাজরা ব্যাট হাতে গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড। সাকিব আল হাসান হয়েছেন বাঁহাতি স্পিনারদের মাঝে বিশ্বের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বোলার। আর নাহিদ রানা করেছেন দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গতির বল। দ্বিতীয় টেস্টের জয়ে রেখেছেন মুখ্য ভূমিকা।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে নাহিদ রানার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতভাবেই বড় এক অর্জন। বাংলাদেশ যেন খুঁজছিল এমনই এক পেসারকে। বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো ব্যাটারদেরও নাভিশ্বাস তুলেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এই গতিতারকা। নাহিদ রানার উত্থানটা চোখে না দেখলেও এই পেসারকে শুরুর দিনগুলোতে দেখেছিলেন দেশের সাবেক পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।
নাহিদ রানার সঙ্গে প্রথম দেখার স্মৃতিচারণ ঢাকা পোস্টের এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন ডোনাল্ড নিজেই, ‘আমার মনে আছে চট্টগ্রামে আমরা একটা টেস্ট খেলেছিলাম শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেখানে দুই দিন ধরে অনেক তরুণ পেস বোলাররা বোলিং অনুশীলন করছিল। এমন একজন তরুণ পেসারকে ওখানে দেখে বেশ ভাল লাগছিল।’
বলাই বাহুল্য ডোনাল্ড বলছিলেন নাহিদ রানার কথাই। সেই সঙ্গে জানালেন, নাহিদ রানার টেকনিক্যাল দিকে কিছুটা উন্নতিও দরকার, ‘আমি আসলে আজকেই ইউটিউবে (নাহিদ রানার বোলিং) দেখছিলাম। কিছু বল ছিল ১৪৫ কিংবা ১৪৮ গতির। কিছু ১৫০ও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এটা আসলেই দারুণ বিষয়। টেকনিক্যাল দিক থেকে বলতে হয়, আরও কিছু জায়গায় উন্নতি হতে পারে।’
অবশ্য টেকনিক্যালি কেমন পরিবর্তন দরকার সেটা পুরোপুরি খোলাসা করলেন না ডোনাল্ড, ‘সেটা আমি এখনি বলতে পারছি না। তবে আমি তাকে দেখেছি। আর মনে হয়েছিল, খুব সামান্য পরিবর্তন আনলে, বড় কিছু না, একেবারেই ছোট পরিবর্তন আনলে তার হাতে দারুণ সাফল্য আসবে। বাতাসে কিছুটা বল ভাসানো, বল ধরে রাখা। কিন্তু সবমিলিয়ে কী দারুণ বোলিংটাই না করলো এই তরুণ ছেলেটা।’
তবে বাংলাদেশের এই পেস বোলিং গ্রুপকে আরও বড় আকারে দেখতে চান ডোনাল্ড। জানালেন, এটাই বাংলাদেশের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, ‘আমরা বেশ কয়েক বছর ধরেই অসাধারণ সব তরুণ পেসার পেয়েছি। গতকালও কিছু অসাধারণ বোলিং দেখেছি। তবে আমি যেমন ঢাকায় বিভিন্ন প্রেস কনফারেন্সে বলেছি, মূল চ্যালেঞ্জ হলো– এই দলটাকে বড় করা। আরও কিছু পেসারকে দলে যুক্ত করা। একটা পেস বোলিং গ্রুপকে আরও বড় হতে দেখা কিংবা আরও বড় সাফল্য অর্জন করতে দেখার বিষয়টা সত্যিই অসাধারণ হবে।’