পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ চলাকালে ঢাকায় হত্যা মামলা হয় সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে। এ হত্যা মামলা নিয়ে খেলে যান টেস্ট সিরিজ। মামলা হওয়ায় দেশে ফেরার পথ অনেকটা রুদ্ধ তার জন্য। যদিও আইন উপদেষ্টা নিশ্চয়তা দিয়েছেন অহেতুক হয়রানির শিকার হবেন না সাকিব।
এরপরও সুযোগ পেলে এ মামলার ইস্যু নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। রাতে পাকিস্তান থেকে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
পাকিস্তানকে প্রথম টেস্টে হারানোর পর সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নিয়ে সরব হন বর্তমান-সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা। এটিকে মিথ্যা মামলা উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধমে পোস্ট দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তসহ অনেক ক্রিকেটার।
টাইগার দলপতি জানিয়েছেন সুযোগ পেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাকিবের বিরুদ্ধে করা মামলা নিয়ে কথা বলবেল তিনি। এ সময় শান্ত আরও জানান দলের সবাই সাকিবের পাশে আছেন।
নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয় পায় টাইগাররা। পরে দ্বিতীয় টেস্টের আসে ৬ উইকেটের জয়।
এমন কীর্তির টাইগারদের অভিনন্দন জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা দেওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি। সুযোগ পেলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাকিবের মামলার বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত।
পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে টাইগার দলপতি বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের ব্যাপারটি, এটি ভিন্ন একটি ব্যাপার। তবে প্রত্যেক খেলোয়াড় সাকিব ভাইয়ের পাশে আছে। এটা আমরা সবাই জানি যে, সাকিব ভাই খেলার জন্য কতটা নিবেদিত এবং খেলার জন্য কতটা পাগল। সবসময় দলের জন্য চিন্তাভাবনা করে থাকেন। যখন দেখা হবে (প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে), এটা নিয়ে যদি কথা ওঠে, প্রতিটি খেলোয়াড় সাকিব ভাইয়ের পাশে আছে।’
গত ২২ আগস্ট গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যার মামলায় ২৮ নম্বর আসামি করা হয় সাকিবকে। এরপর তাকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) আইনি নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।