জেলায় আমন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৬ মে: টন। নিবিড় বার্ষিক ফসল উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে ৬৪ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে আমন চাষেরও লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
হাইব্রীড, উফশী এবং স্থানীয় জাতের আমন চাষ করা হয় পিরোজপুরের ৭ উপজেলায়। পিরোজপুর সদরে আমন চাষের এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ২০৯ হেক্টরে ১৯ হাজার ১৬ মে:টন। একইভাবে ইন্দুরকানীতে ৫ হাজার ৩৫৩ হেক্টরে ১১ হাজার ২৬১ মে:টন, কাউখালীতে ৪ হাজার ৫৫৬ হেক্টরে ৯ হাজার ৩৭৪ মে:টন। নেছারাবাদে ৬ হাজার ২১০ হেক্টরে ১২ হাজার ৪১৫ মে:টন, নাজিরপুরে ৬ হাজার ২৮০ হেক্টরে ১৪ হাজার ৭৪০ মে:টন। ভান্ডারিয়ায় ১০ হাজার ১৫৫ হেক্টরে ২১ হাজার ১২৮ মে:টন ও মঠবাড়িয়ায় ২২ হাজার ৩৭৭ হেক্টরে ৫১ হাজার ৪৬২ মে:টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পিরোজপুরের উপ-পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম জানান ,ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার এ জেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ার লক্ষ্যে ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ১৮ হাজার কৃষকের প্রত্যেককে প্রতি বিঘা জমির জন্য ৫ কেজী উফশী জাতের বীজ, ১০ কেজি ডিওপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ৬ হাজার ২শত উফশী চাষীকে প্রণোদনা দেয়ার লক্ষ্যে গত মাসে ৪৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬১০ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং এ টাকার সার বীজ ইতোমধ্যেই চাষীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। পিরোজপুর জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. দিলিপ মাঝি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। প্রণোদনার সার বীজ পেয়ে কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন । এর ফলে আমন চাষের এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। পিরোজপুর সদর উপজেলার ৫নং টোনা ইউনিয়নের আমন চাষী মজিবর শেখ জানান প্রাকৃতিক দুূর্যোগ না হলে আমন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সহজ হবে। তিনিও সার বীজ পেয়ে আমন চাষে অনুপ্রানিত হয়েছেন। তিনি আরও জানান এ অঞ্চলের চাষীরা এখন বীজতলা তৈরীর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে।