সম্প্রতি ঘরের মাটিতে পাকিস্তান ২-০ ব্যবধানে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হেরে সমালোচনার মুখে পড়েছে। পাকিস্তানের জন্য এই পরাজয় একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গত কয়েক মাস ধরে দলটি ধারাবাহিকভাবে খারাপ পারফরম্যান্স করে চলেছে, যা ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩ থেকে শুরু করে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিস্তৃত। পাকিস্তানের মতোই লম্বা সময় ধরেই ব্যর্থতার চক্রে বন্দী হয়ে আছেন বাবর আজম।
তাতে বাবর আজম সাদা বলের অধিনায়কত্ব হারাতে পারেন এবং তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, ক্রিকেট পাকিস্তানের এক প্রতিবেদনে এমনটায় জানায়। এমনকি রিজওয়ানকে তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়ক করা হতে পারে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজ কতটা এগিয়েছে, সেটা দেখতে গিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভি।
নাকভি বলেন, ‘আমি বিষয়টি তাদের (কোচ ও নির্বাচক) ওপর ছেড়ে দিয়েছি। ২২ সেপ্টেম্বর একটি কর্মশালা আছে। সেখানে নিজেদের মতামত দেওয়ার জন্য সবাই আমন্ত্রিত। এর পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘আমি জানি যে কোনো ভুল হলে আমাকেই দায় দেওয়া হবে। দল যদি ভালো না খেলে, নির্বাচকেরা যদি দল নির্বাচনে ভুল করে অথবা কোচ যদি হেরে যায়; এসবের দায় আমার ওপরই পড়বে।’
এদিকে ইংল্যান্ড সিরিজ পাকিস্তানের মাটিতে হওয়ার কথা থাকলেও গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের সংস্কার চলায় ম্যাচ খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। এ বিষয়ে পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভি বলেন, ‘কোনো টেস্টই (দেশের) বাইরে হবে না। মুলতান ও রাওয়ালপিন্ডি ভেন্যু হিসেবে চূড়ান্ত। ইংল্যান্ডের বোর্ডের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কোনো সমস্যা নেই।’
সর্বশেষ গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের খবর নিয়ে নাকভি বলেন, ‘ভিত্তি পর্যায়ের কাজ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে। প্রতিটি তলার কাজ শেষ হতে তিন সপ্তাহ করে লাগবে। প্যাভিলিয়ন স্টিল দিয়ে তৈরি করা হবে এবং মূল বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে। এর মধ্যেই বাকি সব কাজও শেষ করা হবে।’