চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপউপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপউপাচার্য নিয়োগের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী নেয়ামাতুল্লাহ ফারাবি বলেন, আমরা আমাদের উপাচার্য পেয়েছি। সেই সঙ্গে উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, হল প্রোভস্টসহ অন্যান্য প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়োগে দেরি হওয়ার কারণে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হতে দেরি হচ্ছে। করোনার মহামারির কারণে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম অনেক পিছিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের জন্যও আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম অনেক পিছিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখনো আমাদের ২০২২ সালের মাস্টার্স শেষ করতে পারিনি। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ করছি অতি দ্রুত আমাদের দুজন উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক এবং একাডেমিক) নিয়োগের জন্য। যাতে তারা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারে।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, আমরা আর আন্দোলন করতে চাই না। আমরা আমাদের পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকে ক্লাস শুরু হচ্ছে। কিন্তু আমাদের হল, ক্লাস কবে খুলবে তা আমরা জানি না। তাই অতি দ্রুত সময়ে উপ-উপাচার্য নিয়োগসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়োগের মাধ্যমে আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম যাতে দ্রুত শুরু করা হয় আমরা সেই দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের উপাচার্য বলেছেন তিনি সেশনজট মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলবেন। আমরা তার এই কথাকে সাধুবাদ জানাই। আমরাও চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট মুক্ত হোক।
উল্লেখ্য, গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১২ আগস্ট পদত্যাগ করেন চবি উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি, প্রভোস্ট ও ছাত্র উপদেষ্টা।
পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চবির ২০তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারকে।