কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বিয়ে থেকে বাঁচতে ওষুধ খেয়ে এক কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। জোর করে বিয়ে দিতে চাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই কিশোরী।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দুলালপুর মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কিশোরী (১৫) ওই এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
কিশোরীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পারিবারিকভাবে একই ইউনিয়নের বালিনা এলাকার বিদেশফেরত এক যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ের কথা চলছিল। এ বিয়েতে রাজি হচ্ছিল না ওই কিশোরী। পরিবারের সদস্যরা এ নিয়ে জোর প্রয়োগ করলে বুধবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরী ঘরে থাকা মন্টিলুকাস, ক্যালসিয়াম ও মেট্রোনিডাজল জাতীয় ট্যাবলেট বেশি পরিমাণে খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ ব্যাপারে কিশোরীর বড় ভাই বলেন, ফুপাতো ভাইয়ের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ের কথাবার্তা চলছে। সে এ বিয়েতে রাজি নয়। এ নিয়ে সে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে ঘরে থাকা কয়েক ধরনের ওষুধ খেয়ে ফেলে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান রিপন ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরে কিশোরীর যথাযথ চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করানোর কথা বলেছি। এ ছাড়া ওই কিশোরী প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার জন্য কিশোরীর পরিবারকে বলা হয়েছে।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, ওই কিশোরীর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।