ইউক্রেনের ভবিষ্যতের বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে ইউরোপ?

ফেব্রুয়ারি 17, 2025
by

ইউরোপের নেতারা যে বেশ বড় ধরনের ধাক্কার মুখে পড়েছে, সোমবার প্যারিসে তাদের পক্ষ থেকে অনেকটা তাড়াহুড়ো করে ডাকা ‘নিরাপত্তা সম্মেলন’ অন্তত সেটাই প্রমাণ করে। ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র যে তাদের বাইরে রেখেছে, সেটা হয়তো তারা এখনও পুরোপুরি মেনে নিতে পারছেন না।

রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অব্সানে তিনি খুব শিগগিরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। এখন প্রশ্ন হলো চাপের মুখে থাকা ইউরোপ কি নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক উদ্বেগকে একপাশে সরিয়ে রেখে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যয় ও ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি ফ্রন্ট গঠন করতে পারবে?

সেই সাথে ইউরোপ কি ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর মতো পদক্ষেপ নিতে পারবে; যা তাদের এই যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনার টেবিলে একটা জায়গা করে দিতে পারে? তবে এই বিষয়টি নিশ্চিত, তারা একটা চেষ্টা করতে যাচ্ছে।

সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্য পাঠাতে যুক্তরাজ্য রাজি আছে এবং তাদের সেই প্রস্তুতিও আছে। এমনকি জার্মানিতে আসন্ন নির্বাচনের আগে সিডিইউ পার্টির পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক মুখপাত্র বলেছেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতির মধ্যে থেকে তারা বিদেশে সৈন্য মোতায়েন করতে আগ্রহী। নির্বাচনে এই দল বেশিরভাগ আসন পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের বিষয়ে আসলে কী করা হবে, তা নিয়ে এখনও শতভাগ নিশ্চিত নয় ট্রাম্প প্রশাসন। কী করবে সে বিষয়ে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নয়। সপ্তাহজুড়ে এ বিষয়ে তাদের মিশ্র বার্তা এসেছে।

এই আবহে ইউরোপের একটা ছোট্ট সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এই সুযোগের হাত ধরে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে এটা বোঝানোর চেষ্টা করতে পারে যে ইউরোপও এই আলোচনায় একটা ‘অমূল্য অংশীদার’।

ইউরোপ আপাতত প্যারিস সম্মেলনে দুটি বড় ইস্যুর বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা ভাবছে, যা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগেই দাবি জানিয়েছেন। প্রথমত, ইউরোপ তার নিজস্ব প্রতিরক্ষার খাতে আরও ব্যয় করবে এবং যুদ্ধবিরতির পর তারা ইউক্রেনে সেনাবাহিনী পাঠাবে।

ইউরোপের নেতারা অবশ্য চাইছেন, যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনায় কিয়েভকে সরাসরি জড়িত করা হোক। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে এসেছে, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে ইউক্রেন সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্ত হতে পারে না।

তবে ইউক্রেন সংক্রান্ত যেকোনও আলোচনার সময় তাতে উপস্থিত থাকাটা ইউরোপের জন্য আরও বেশি জরুরি। এই প্রসঙ্গে কঠিন বাস্তবটা সামনে এসেছে ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বা তাদের (ইউরোপের) প্রতিরক্ষার বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয় না। এই উপলব্ধি ভয়ের হতে পারে কিন্তু অপ্রত্যাশিত নয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিরাপত্তা বলয়ের ওপর নির্ভর করে আসছে।

ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা কোনদিকে গড়ায় এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন সেটা নিয়ে কতটা উৎসাহিত বোধ করেন, সেটার সাথে সাথে ইউরোপের জন্য আরও একটি আশঙ্কাও জোরদার হয়ে উঠেছে, এসবের ফলে তাদের নিরাপত্তা কাঠামোই পরিবর্তন করতে হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট পুতিন ঐতিহাসিকভাবে ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলের বিস্তারকে অপছন্দ করে এসেছেন। ফলে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলো, ক্ষুদ্র ও সাবেক সোভিয়েত বাল্টিক রাষ্ট্র এবং পোল্যান্ড এখন ‘অনিরাপদ’ বোধ করতে পারে।

সোমবার প্যারিসে আয়োজিত এই সম্মেলনে ইউরোপের সব দেশ অংশগ্রহণ করবে না। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, স্পেন এবং ডেনমার্কের মতো দেশ যাদের প্রতিরক্ষার দিকটা মজবুত তারা বাল্টিক এবং নর্ডিক দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের (ইসি) সভাপতি এবং প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল থাকতে পারেন এই সম্মেলনে।

অন্যান্য দেশগুলো পরবর্তী বৈঠকে থাকবে বলে জানা গেছে। প্যারিসের এই সমাবেশ আকারে ছোট। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে সকলের একমত হওয়াটা অসম্ভব না হলেও কঠিন হবে বৈকি। পোল্যান্ড ২০২৫ সালে তার জিডিপির ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে। যুক্তরাজ্য এই দিক থেকে চেষ্টা করেও জিডিপির আড়াই শতাংশ লক্ষ্যমাত্রাতেও পৌঁছাতে পারেনি এখনও।

তবে তা সত্ত্বেও নেতারা নিজেদের মধ্যে আরও ভালোভাবে সমন্বয় করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন, ন্যাটোর অভ্যন্তরে ব্যয়ের পরিমাণ বাড়াতে পারেন এবং যুদ্ধবিরতির পর ইউক্রেন পুনর্গঠনের বেশিরভাগ দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিতে পারেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তার প্রতিরক্ষা প্রচেষ্টা আরও জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্যারিসে আয়োজিত সোমবারের সম্মেলন একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোকপাত করবে এবং সেটা হলো যুদ্ধবিরতির পর ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে কি না। এক্ষেত্রে যে প্রসঙ্গে আলোচনা হচ্ছে সেটা কিন্তু এই বাহিনী শান্তি রক্ষাকারী বাহিনী হবে না। বরং ‘আশ্বস্তকরণ বাহিনী’ বিষয়ে যারা সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি রেখার ভেতরে অবস্থান নিয়ে থাকবে।

ইউরোপীয় সৈন্য উপস্থিতির তিনটি লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো ইউক্রেনবাসীদের কাছে এই বার্তা পাঠানো, তারা একা নয়। আরেকটি বার্তা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে। ইউরোপ যে তার নিজের মহাদেশের প্রতিরক্ষার জন্য ‘‘তার যা যা করণীয় তা করছে’’, সেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে তুলে ধরতে চায় তারা।

সর্বশেষ বার্তা মস্কোর প্রতি। ইউরোপ তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলতে চায়, রাশিয়া যদি চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে তাহলে তাদের মোকাবিলা শুধুমাত্র কিয়েভের সঙ্গে হবে না। তবে এই পুরো বিষয়কে ঘিরে বিতর্ক রয়েছে। শুধু তাই নয়, ভোটারদের কাছে এটা (বিষয়টা) জনপ্রিয় নাও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ইতালিতে ৫০ শতাংশ মানুষ ইউক্রেনে আর অস্ত্র পাঠাতে চান না। সুতরাং সেখানে তাদের সন্তান, কন্যা, বোন বা ভাইদের পাঠানো সহজে তারা মেনে নেবে না।

এদিকে, এমন বহু প্রশ্ন রয়েছে যার এখনও কোনও উত্তর মেলেনি। যেমন, ইউরোপের প্রতিটা দেশকে কতসংখ্যক সৈন্য পাঠাতে হবে, কত সময়ের জন্য পাঠাতে হবে এবং তারা কার কমান্ডের অধীনে থাকবে? তাদের মিশনের বিবৃতি কী হবে?

উদাহরণ হিসেবে যদি রাশিয়া তাদের সম্মত হওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে তাহলে ইউরোপীয় সৈন্যরা সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করে দেবে? এবং যদি তাই হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কি তাদের পাশে থাকবে? এমন একগুচ্ছ প্রশ্ন রয়েছে।

এখন এটা একটা বিষয় যে, ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করার আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিশ্চয়তা’ চায় ইউরোপ। তবে তারা সেটা নাও পেতে পারে। প্যারিসে আয়োজিত সম্মেলনে এত বিষয় সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট ধারণা মেলা কঠিন। এদিকে এটাও উল্লেখযোগ্য, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার-সহ নেতারা তাদের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ উদ্বেগকে সঙ্গে নিয়ে প্যারিসের এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।

তাদের উদ্বেগের তালিকায় রয়েছে, তাদের পক্ষে কি এই অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা ব্যয় বহন করা সম্ভব হবে এবং তাদের কি ইউক্রেনে পাঠানোর মতো সৈন্য রয়েছে? আবার সাধারণ নির্বাচনের ঠিক আগেই এই বিষয়ে কোনও ‘দৃঢ় প্রতিশ্রুতি’ দেওয়ার বিষয়ে জার্মানি উদ্বিগ্ন।

ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লর্ড ডানেট বিবিসিকে বলেছেন, ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করা হলে সেখানে ব্রিটিশ বাহিনীকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় সৈন্য সরবরাহ করতে হবে। সবমিলিয়ে এক লাখ সৈন্য দরকার হতে পারে, সেখানে ব্রিটেনকে বড় একটি অংশের যোগান দিতে হবে।

তবে এখন পর্যন্ত বলা যেতে পারে, পুরো বিষয়টা সম্পর্কে কোনও পোক্ত ধারণা পাওয়ার বদলে একটা সামগ্রিক ধারণা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি এই সম্মেলনে। তবে এটা ঠিক যে এর মাধ্যমে প্রকাশ্যে আলাপ-আলোচনা অন্তত শুরু হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোযোগ দেবেন কি না, সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে? তবে এর উত্তর হলো, এটা বলা মুশকিল। প্যারিসের নিরাপত্তা সম্মেলনের পর ওয়াশিংটনে দূত পাঠিয়ে ইউরোপ নিজেদের কথা তুলে ধরতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ।

অন্যদিকে, স্যার কিয়ের স্টারমারের কয়েক দিনের মধ্যে ওয়াশিংটন সফরের পরিকল্পনা রয়েছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সেতুবন্ধন করার জন্য প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালনে এটি তার কাছে সুযোগ হয়ে উঠতে পারে।

ব্রেক্সিটের পর যে তিক্ততা দেখা গিয়েছিল, সেটা ভুলে যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে আরও একবার সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিতে পারে প্যারিসের সম্মেলন। ইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের প্রধান মার্ক লিওনার্ড এই প্রসঙ্গে বলেছেন, স্যার কিয়ের স্টারমার প্রমাণ করতে চাইতে পারেন যে ইউরোপীয় সুরক্ষার বিষয়ে ব্রিটেন একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে… তিনি এমন কিছু উল্লেখ করতে চাইবেন যা নজরে পড়ার মতো এবং আলোচনার সময় তাদের (যুক্তরাজ্যের) পক্ষ থেকে সদিচ্ছার বার্তা হিসাবে বিবেচিত হবে।

এদিকে, বাণিজ্য সম্পর্ক এবং আইন প্রয়োগকারী সহযোগিতার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আরও মজবুত সম্পর্ক আশা করছে যুক্তরাজ্য। সম্মেলনের আয়োজক দেশ ফ্রান্স আত্মবিশ্বাসী। প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে সরবরাহ চেইন, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা-সহ অনেক বিষয়ে ইউরোপকে বাইরের দেশগুলোর ওপর কম নির্ভরশীল হওয়ার কথা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন।

তিনিই প্রথম ইউক্রেনের মাটিতে সেনা মোতায়েনের ধারণার কথা বলে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। এটা এক বছর আগের ঘটনা। ইনস্টিটিউট মন্টেনিয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের উপ-পরিচালক জর্জিনা রাইট বলেছেন, ফ্রান্স এই বিষয়টা নিয়ে ‘‘অত্যন্ত গর্বিত’’ যে তার গোয়েন্দা ও সুরক্ষা পরিষেবাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জড়িত নয়। যেমনটা যুক্তরাজ্যের রয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন জটিলতা কমে তেমনই সেই সম্ভাবনাও কমানো যায়, যার সূত্র ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করছেন, ইউরোপ নিজেই নিজের দায়িত্ব নেবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ইউরোপীয় মিত্রদের কাছে ছয়টি পয়েন্ট এবং প্রশ্ন উল্লেখ করে একটি নথি পাঠিয়ে দিয়েছে। কোন দেশগুলো শান্তি চুক্তির অংশ হিসাবে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করতে ইচ্ছুক হবে, কোন কোন সরকার বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞাগুলো আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করা-সহ রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত থাকবে সেসবই রয়েছে ওই নথিতে।

জুলিয়ান স্মিথ কিছুদিন আগে পর্যন্ত ন্যাটোতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন। তার মতে, এই ধরনের জটিল কূটনৈতিক কাজের বিষয়ে সাধারণত কয়েক সপ্তাহ ধরে বৈঠক চলে। এখানে ‘‘পূরণ করা ফর্মের’’ মাধ্যমে কোনও সূত্র মেলানো সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, ইউরোপের নেতারা প্যারিস সম্মেলনে যাই অর্জন করুন না কেন, সেটার হাত ধরে যদি তারা ইউক্রেন সংক্রান্ত আলোচনার টেবিলে আসন দাবি করেন, তাহলে বলতে হবে তাদের পক্ষ দুর্বল। ট্রাম্প যদি এক লহমায় না বলে বসেন, তাহলে কি ইউরোপ সাহায্য করা থেকে পুরোপুরি বিরত থাকবে?

যদি যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তার দিক থেকে ইউক্রেন এবং ইউরোপের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে, তবে তাদের নিজেদের প্রতিরক্ষার বিষয়টা এমনিতেও মজবুত করতে হবে। সেক্ষেত্রে বলা যেতেই পারে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ব্যাপারে লক্ষ্য না রাখলেও ভ্লাদিমির পুতিনের নজর কিন্তু এদিকেই থাকবে। 

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.

Don't Miss

নোবেল শান্তি পুরস্কার পেল নিহন হিদানকিও

চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেল জাপানি সংস্থা নিহন হিদানকিও। রয়্যাল

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা আজ

আজ মঙ্গলবার সুইডেনের স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট অনুযায়ী বাংলাদেশ
chief adviser dr. unus

ঢাকার যানজট সমস্যা সমাধানে নতুন উদ্যোগ

ঢাকার যানজট সমস্যা দূর করার জন্য নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
mashrafe

যুক্তরাষ্ট্র টি-১০ লিগ দিয়ে ক্রিকেটে ফিরছেন মাশরাফি

যুক্তরাষ্ট্র মাস্টার্স টি-১০ লিগের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের
dr. yunus

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্য বিরোধী

সবার জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাক্ষরতার অভীষ্ট লক্ষ্য

ঐতিহাসিক জয়, যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না : শান্ত

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়কে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে যুগান্তকারী
chief adviser dr. unus

শিল্প প্রবৃদ্ধিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ব্যবসায়ী নেতাদের সহায়তা প্রদানে প্রধান উপদেষ্টার আশ্বাস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের শিল্প প্রবৃদ্ধিকে নতুন

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় বাংলাদেশের

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জিতলো বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম

বন্যার্তদের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের এক দিনের বেতনের অর্থ প্রদান

বন্যার্তদের সহায়তায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারিদের

ইসরায়েলিদের জন্য ভিসা সীমিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ২০টিরও বেশি

সচিবালয়ে আগুনের সুষ্ঠু ও বিস্তারিত তদন্ত হতে হবে : রিজওয়ানা হাসান

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনাটি অবশ্যই একটা সুষ্ঠু ও বিস্তারিত তদন্ত হতে

বাসে আগুন, ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা গেল হেলপার

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও বাজার ব্রিজের ওপরে পার্কিং করা গাংচিল