চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষণার দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন।
সমাবেশে শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল হককে বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় প্রথমে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে সভায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেওয়ার জন্য বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকতের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় আশরাফুল হকের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে শাহীন শওকতের কর্মী-সমর্থকদের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় মঞ্চের সামনে থাকা চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। তবে এতে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মারামারির মাঝেই আশরাফুল হক অনুষ্ঠান বর্জন করে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যান। এরপর আবারও অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শরীফ উদ্দীন বক্তব্য দেওয়ার সময় অনুষ্ঠানের কাছে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়ার নেতৃত্বে আজকে সমাবেশে চেয়ার ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। সে পরিকল্পনা করে আজকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
তবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া বলেন, অনুষ্ঠানে আশরাফুল হককে বক্তব্য দিতে না দেওয়ার কারণেই মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো পক্ষেরই কেউ আহত হয়নি। বিষয়টি দলীয়ভাবেই সমাধান করা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দীন জানান, বিএনপির সমাবেশস্থলে আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। নেতাদের আগে ও পরে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেননি। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।