বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি। অর্ধযুগ ধরে ক্লাবটি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলে আসছে। তাবিথ বাফুফে সভাপতি হওয়ার পর এবার চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে দলবদল অংশগ্রহণ করেনি নোফেল। ২৩ ফেব্রুয়ারি ছিল দলবদলের শেষ দিন। ঐ সময়ে ১১ ক্লাবের মধ্যে মাত্র ৭ ক্লাব নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করে। এতে ফেডারেশন বাধ্য হয়ে আজ দুপুর বারোটা পর্যন্ত দলবদলের সময় বাড়ায়। বর্ধিত সময়ের মধ্যে লিটল ফ্রেন্ডস, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও ফরাশগঞ্জ দলবদল করলেও সভাপতি তাবিথের ক্লাব নোফেল স্পোর্টিং করেনি।
নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন ভূইয়া শাহীন দলবদল না করা প্রসঙ্গে বলেন, ‘খেলোয়াড় ও কোচদের সঙ্গে আমার প্রাথমিক আলোচনা করা ছিল। দলবদলের সঙ্গে আর্থিক বিষয় জড়িত। এই বিষয়ে সভাপতির কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা পাইনি। এজন্য দলবদল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।’
এই ক্লাবের সভাপতি স্বয়ং বাফুফে সভাপতি। বাফুফে সভাপতি হয়েও কেন তার দল এবার অংশগ্রহণ করল না এই বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাবিথ আউয়ালের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
একটি ফুটবল দলে কমপক্ষে ২০ জনের অধিক ফুটবলার থাকেন। কোচিং-স্টাফও থাকেন কয়েকজন। একটি ক্লাব লিগে অংশগ্রহণ না করলে সেই ফুটবলার-কোচিং স্টাফের রুটি-রুজি বন্ধ হয়। ক্লাব লাইসেন্সিং করে এবং দলবদলে বাড়ানোর সময় দাবি জানিয়ে শেষ মুহুর্তে দলবদলে অংশগ্রহণ না করা চরম অপেশাদারিত্ব। সভাপতির ক্লাবই যখন এমন আচরণ করে তখন অন্য ক্লাবগুলোর কাছ থেকে গঠনমূলক আচরণ বাফুফে প্রত্যাশা করাটা বাতুলতা। ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো ক্লাব দলবদলে অংশগ্রহণ না করলে আগামী তিন বছর ক্লাব লাইসেন্সিং করতে পারবে না। ফলে নোফেল স্পোর্টিংয়ের আগামী তিন বছর ঘরোয়া ফুটবলে চ্যাম্পিয়নশীপ লিগ স্তরে খেলার কোনো সুযোগ নেই।
২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের জন্ম। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে তাবিথ আউয়াল ক্লাবটির সভাপতি ও সাখাওয়াত হোসেন ভূইয়া শাহীন সাধারণ সম্পাদক। বিগত সময়ে নোফেল নিয়মিত বিসিএলে অংশগ্রহণ করলেও এবার ফেডারেশনের সভাপতি হয়েও অংশগ্রহণ না করায় ফুটবলাঙ্গনে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। একটি ক্লাব যিনি রক্ষা করতে পারলেন না তার হাতে দেশের ফুটবল কতটুকু নিরাপদ এ প্রশ্ন রীতিমতো উঠেছে ফুটবলাঙ্গনে।
নোফেল স্পোর্টিং না খেলা নিয়ে গণমাধ্যমেরও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। ক্লাব সভাপতির কাছ থেকে এ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। ফেডারেশন সভাপতি হিসেবেও তিনি মিডিয়ার মুখোমুখি তেমন হন না। বিশেষ কিছু বিষয়ে গণমাধ্যম প্রশ্ন করলে তার উত্তর থাকে ‘নো কমেন্টস’। দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার সর্বোচ্চ ব্যক্তি যদি মন্তব্যহীন থাকেন তাহলে আপামর ফুটবলপ্রেমীর কৌতুহল/জিজ্ঞাসা মেটাবেন কে?