সারা দেশে অবিলম্বে খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই, ডাকাতি, মব-সন্ত্রাস বন্ধ ও নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করেন। পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শাঁখারীবাজার হয়ে পুনরায় ভাস্কর্য চত্বরে মিছিল শেষ করেন তারা।
এ সময় “মুক্তির মন্দিরও সোপান তলে, ”কারার ঐ লৌহ কপাট”, “আগুনের পরশমণি”, “আবার তোরা মানুষ হ” এসব গান ও কবিতা বলে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
শিক্ষার্থীরা “ধর্ষকের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও”, “লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই”, “আমার বোন ধর্ষিত কেন, ইউনুস সরকার জবাব চাই”, “বাঁচার মতো বাঁচতে দাও, নইলে গদি ছেড়ে দাও” এসব স্লোগান দেন।
মিছিলের শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই-২৪ পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কেন এখনও নারীদের প্লাকার্ড হাতে দাঁড়াতে হচ্ছে? প্রতিনিয়ত ধর্ষণ ছিনতাইসহ বিভিন্ন অরাজকতা দেখতে হচ্ছে। এটা এই সরকারের ব্যর্থতা। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। নারী পুরুষ সহ সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই আমরা। সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এই সরকারের দায়িত্ব।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীভ বলেন, এই সরকার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। রাস্তায় চলার সময় দিন-দুপুর-রাতে কখনোই নিরাপদবোধ করছি না। প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক ধর্ষণ-ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে। নারী-পুরুষ সর্বোপরি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা চাই।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুল আলম মারুফ বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন এগুলো ছোটখাট ঘটনা, সব সময় ঘটতে থাকে। তার কাছে যেসব ছোটখাট ঘটনা কিন্তু এর ফলে দেশের অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যু বেহাত হচ্ছে।
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী সামিরা মৌ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের পরিস্থিতি খুবই শঙ্কিত অবস্থায়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে করে, টিউশন করে দিনে-সন্ধ্যায় বাসায় ফিরতে আমরা ভয় পাচ্ছি। এভাবে আট কোটি নারীকে ঘরে বন্দি থাকার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এই প্রশাসন নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না। আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাচ্ছি।