সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের বেঁধে দেওয়া এক মাস সময়ে কি অগ্রগতি করেছে পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ, তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। তার আগে অগ্রগতি জানতে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিনের কাছে পাঠান তিনি বলেও জানান।
ওই চিঠিতে বলা হয়, গত ১৯ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ ভবনে ‘সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ, ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন এবং বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক এক সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রাজধানীর যানজট নিরসন, পরিবহনের কালো ধোঁয়া বন্ধ করা, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া নিশ্চিত করা, ফিটনেসবিহীন যানবাহন রাস্তায় যেন চলতে না পারে তার ব্যবস্থা করা, ফিটনেস প্রদানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বেসরকারি খাতের সহায়তা নেওয়া, রাস্তায় অবৈধ পার্কিং বন্ধ করা, স্কুলবাস চালুর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো, এলোমেলো বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কারণে সৃষ্ট যানজট বন্ধ করা, আগামী মে মাসের মধ্যে ঢাকা শহরে ২০ বছরের পুরোনো বাস তুলে দেওয়া, যানজটের স্থানগুলো চিহ্নিত করাসহ সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য বিআরটিএকে একমাসের সময় দেওয়া হয়। পরিস্থিতি উন্নতি না হলে বিআরটিএ’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) ওই সভার ৬৯ দিন অর্থাৎ ২ মাস ৯ দিন পরে আপনার নেতৃত্বাধীন বিআরটিএ’র অগ্রগতি কি, যাত্রী ও নাগরিক সংগঠন হিসেবে যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানতে আগ্রহী। তথ্যগুলো আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জনস্বার্থে যাত্রী কল্যাণ সমিতিকে প্রদানের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।