পিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ওপরের আকাশে এখন পর্যন্ত মেঘের ঘনঘটা। বাংলাদেশ ক্রিকেটের আকাশে যে মেঘ জমেছে, সেটার সঙ্গে এর তুলনা চলতে পারে কি না, সেটা ভিন্ন এক বিষয়। তবে রাওয়ালপিন্ডি শহরের আকাশের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেটের অবস্থাও ভালো নেই সেটা একবাক্যে মেনে নেবেন সকলেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ ম্যাচের আগে বাংলাদেশের সামনে নিজেদের ফিরে পাওয়ার চ্যালেঞ্জ।
আগের দুই ম্যাচেই প্রতিপক্ষের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের কোনো পর্যায়েই প্রতিপক্ষের ওপর খুব বেশি চেপে বসা হয়নি নাজমুল শান্তর দলের। পাকিস্তানের অবস্থাও প্রায় একই। বলতে গেলে, টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বাজে সময় পার করা দুই দলের দেখা হচ্ছে পিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
আইসিসি ইভেন্টগুলোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের লড়াই মানেই অনেকটা একপেশে ম্যাচ। আইসিসি ইভেন্টে ১৯৯৯ সালের সেই ঐতিহাসিক ম্যাচের পর আর কখনোই ম্যান ইন গ্রিনদের হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। সবশেষ ২০২৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে হেরেই সবার আগে নিজেদের বিদায় নিশ্চিত করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
এবারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিদায় নিশ্চিতের পর নিয়মরক্ষার ম্যাচ। দুই দলের কারোরই প্রাপ্তি বা হারানোর খাতায় নতুন কোনো গল্প যোগ করার সম্ভাবনা নেই। তবে কোনো ম্যাচ না জেতা কিংবা কোনো পয়েন্ট ছাড়া বিদায়ের লজ্জা থেকে মুক্তি পেতে মরিয়া বাংলাদেশ-পাকিস্তান দুই দলই।
বাংলাদেশ এই ম্যাচে অন্তত একবার নিজেদের ব্যাটিং শক্তিমত্তা দেখাতে চাইবে। ভারতের বিপক্ষে টপঅর্ডারে ভয়াবহ বিপর্যয় আবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নাজমুল শান্ত ছাড়া বাকিদের ব্যর্থতা বাংলাদেশকে আসর থেকে ছিটকে দিয়েছে। বোলারদের হাতে পর্যাপ্ত পুঁজি তুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন ফিল সিমন্স শিষ্যরা। যে কারণে বোলিং ইউনিট প্রশংসা কুড়ানোর মতো স্পেল উপহার দিলেও বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতা শূন্যই থেকে গেছে।
এই ম্যাচেও টাইগার একাদশে আসতে পারে একটি পরিবর্তন। গেল দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে রান পাননি মুশফিকুর রহিম। পরপর দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানের বিপক্ষে দল থেকে বাদ পড়তে পারেন তিনি। ফলে তার জায়গায় ওপেনার সৌম্য সরকারকে আবার ফিরিয়ে আনা হতে পারে একাদশে।
সেক্ষেত্রে আজ আবার ওয়ানডাউনে ফিরে যাবেন অধিনায়ক শান্ত। মিরাজকে দেখা যাবে চার নাম্বারে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নামবেন তার আইসিসি ইভেন্টের শেষ ম্যাচটা খেলতে। তিন পেসার হিসেবে যথারীতি থাকছেন তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
যদিও রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ মাঠে নামার সুযোগ পাবে কি না সেটাও এক বড় প্রশ্ন। নিয়মরক্ষার এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুই দলকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে আকাশের দিকে। বেশ কিছুদিন ধরেই রাওয়ালপিন্ডিতে ব্যাপক আকারের বৃষ্টিপাত চলছে। আজও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখানো হয়েছে ৮৮ শতাংশ। আসরের শেষ ম্যাচে তাই বাংলাদেশকে মাঠে দেখা যাবে কি না, সেটাও বেশ বড় প্রশ্ন।