ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চুক্তিতে না পৌঁছানো পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপেরও চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের এই হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক সপ্তাহ আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ওভাল অফিসে ট্রাম্পের উত্তপ্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের পর কিয়েভকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগের অংশ হিসাবে ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদান স্থগিত করেন ট্রাম্প।
শুক্রবার তিনি বলেছেন, রাশিয়া এই মুহূর্তে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে একেবারে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। আমি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বৃহৎ পরিসরের ব্যাংকিং নিষেধাজ্ঞা, নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক আরোপের বিষয়ে দৃঢ়ভাবে বিবেচনা করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য চুক্তিতে পৌঁছানো না যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই যুদ্ধ অবসানের বিষয়ে মস্কো এবং কিয়েভের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘খুব বেশি দেরী হওয়ার আগে এই মুহূর্তে আলোচনার টেবিলে বসুন।’’
ইউক্রেন ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বৈত নীতি গ্রহণ করেছেন বলে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকেই সমালোচনা করছেন। গত মাসে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়া শুরু করেনি, বরং ইউক্রেন এই যুদ্ধের জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করে পশ্চিমাদের সমালোচনার মুখে পড়েন।
কয়েক দিন আগে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা থেকে পরিত্রাণ দেওয়ার বিষয়ে হোয়াইট হাউস খসড়া পরিকল্পনা করছে বলে জানানো হয়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ, মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসন ওই পরিকল্পনা নিচ্ছে বলে জানিয়েছিল রয়টার্স। কিন্তু তার কয়েকদিন যেতে না যেতেই এখন মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন ট্রাম্প।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। ইউক্রেনে রাশিয়ার এই হামলা শুরুর পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা অংশীদাররা মস্কোর বিরুদ্ধে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।