ফরিদপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পল্লীকবি জসিম উদদীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার কবির কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) বেলা ১১টায় শহরের অম্বিকাপুরে কবির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক ও জসিম ফাউন্ডেশনের সভাপতি কামরুল হাসান মোল্লা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল জলিলসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
পরে জেলা প্রশাসন ও জসিম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবির বাড়ির আঙিনায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ডিসি কামরুল হাসান মোল্যা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল জলিল, কবিপুত্র খুরশিদ আনোয়ার প্রমুখ।
কবিকে স্মরণীয় করে ধরে রাখতে তার গল্প, কবিতা, উপন্যাস চর্চার তাগিদ দেন বক্তারা। পরে কবির রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
একুশে পদকপ্রাপ্ত এই কবি ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ ৭৩ বছর বয়সে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। ওই দিনই তাকে ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুরের গোবিন্দপুর গ্রামের পৈতৃক বাড়ির আঙিনায় সমাহিত করা হয়। ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামের মাতুলালয়ে জসীম উদদীন জন্মগ্রহণ করেন।
ছাত্রজীবনে লেখা তার ‘কবর’ কবিতাটি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হলে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পেয়ে যান। ‘নিমন্ত্রণ’, ‘আসমানি’ তার বহুল পঠিত কবিতাগুলোর অন্যতম। এ ছাড়া ‘মধুমালা’, ‘বেদের মেয়ে’, ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’, ‘নকশী কাঁথার মাঠ’, ‘ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়’, ‘বাঙালির হাসির গল্প’, ‘প্রভৃতি লেখায় হাসি-কান্না’, ‘আশা-আকাঙ্ক্ষা’র মধ্যদিয়ে গ্রাম বাংলার শ্বাশত্ব রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি পল্লী সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে গেছেন। এজন্যই তিনি বাংলা সাহিত্যে পল্লীকবি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।