কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যতম নেতা সুলতান মারুফ তালহা, আলী আহসান মুজাহিদ, আসাদুল, ইব্রাহীম, আলভী ও ইমন। এর মধ্যে ইব্রাহিমের অবস্থা বেশ গুরুতর।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্তত চার-পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসিব ও মোস্তাফিজুরসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী সমবায় মার্কেটে স্থাপিত তাদের লাইব্রেরির সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় কয়েকজন তরুণ সেখানে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কথা বলতে এগিয়ে গেলে ৮-১০টি অটোরিকশা থেকে নেমে ৬০-৭০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে তাদের দলের সিনিয়র নেতাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র পারভেজ মোশাররফ বলেন, যারা বর্তমান কমিটিকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে, তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব ও নাগরিক কমিটির নেতাসহ তাঁদের অন্তত ৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব সুজন মাহমুদ জানান, আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির লোকজন। আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফেসবুক লাইভে জানান, কিছু সন্ত্রাসী আমাদের কাটাইখানা মোড়ে লাইব্রেরির সামনে গিয়ে হুমকি-ধামকি দেয় এবং পরে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, সংঘর্ষের খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।