কানাডায় আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। রোববার (২৩ মার্চ) তিনি জানান আগামী ২৮ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো চলতি বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া লিবারেল পার্টির দলীয় প্রধানের পদও ছাড়েন তিনি। এরপর অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের মাধ্যমে দলটি মার্ক কার্নিকে নতুন দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে। তিনি মাত্র গত সপ্তাহে শপথ গ্রহণ করেন। এর এক সপ্তাহ পরই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন। যদিও এটি প্রত্যাশিতই ছিল।
গত বছর কানাডার প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর তিনি কানাডার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ‘গভর্নর ট্রুডো’ হিসেবে অভিহিত করে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। এমন টালমাটাল অবস্থা এবং জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়ায় ট্রুডো প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন। এরপরও ট্রাম্প কানাডাকে নিয়ে বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলতে থাকেন। প্রথমে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানানোর হুমকি দেন। এরপর দেশটির সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন।
আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পরই কার্নিকে প্রশ্ন করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ চলার মধ্যে তিনি কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন। এটি ঝুঁকিপূর্ণ হবে কি না। জবাবে সদ্যই শপথ নেওয়া প্রধানমন্ত্রী কার্নি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ৯ দিন হিসেবে তিনি ও তার দল যে কাজ করেছেন এতে কানাডার অর্থনীতি সুরক্ষিত আছে। যা তারা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছেন।
এছাড়া ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ও আলোচনা নিয়েও তাকে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তিনি আলোচনা করতে রাজি আছেন। তবে ট্রাম্পকে প্রথমে শিকার করে নিতে হবে ‘কানাডা একটি স্বাধীন দেশ’।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি ৯ দিন আগে শপথ নিলেও এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের সঙ্গে তার কোনো আলোচনা হয়নি।