আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ হয়েছে দুই সপ্তাহ আগে। তবে বাংলাদেশের হিসাবে টুর্নামেন্টটি শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহেরও বেশি হতে চলল। আর সেই সময় কি না প্রসঙ্গ উঠল সাকিব আল হাসানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে না থাকা নিয়ে। অবশ্য তিনি নিজেই দীর্ঘ সময় পর এ নিয়ে মুখ খুললেন। তাকে দলে না রাখার বিষয়ে বিসিবি থেকে কোনো যোগাযোগও করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সাকিব।
এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার সময় সাকিবকে না রাখার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে তিনি খুব বেশি কথা বলতে অসম্মতি জানান। সাকিবকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে না রাখার অন্যতম কারণ ছিল তার বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় ‘বোলার সাকিব’ ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিলেন। ফলে কেবল ব্যাটার সাকিবকে দলে নেওয়া ও কম্বিনেশন মেলানোর জন্য যথেষ্ট মনে করেননি প্রধান নির্বাচক।
দল ঘোষণার পর এ নিয়ে কথা বলেননি ৩৭ বছর বয়সী এই বাংলাদেশি তারকা। তবে সম্প্রতি সাকিব মুখ খুলেছেন ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েসবাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে। সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় অবশ্য তিনি অভিযোগ করতে চান না উল্লেখ করে বলেন, ‘দেখুন কারও বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। তবে যদি এই বিষয়ে (বিসিবি ও সাকিবের মাঝে) যোগাযোগটা ভালোভাবে করা হতো, তাহলে আমি খুশি হতাম।’
এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক বলেছিলেন, ‘বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় নেগেটিভ, তাই তিনি শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারবেন। আমরা তাকে দল গঠনে ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করেছি। কিন্তু কম্বিনেশনে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে জায়গা দেওয়া যায়নি।’ এক্ষেত্রে মাঠের বাইরে সমর্থকদের বিরোধীতার কোনো প্রভাব আছে কি না সেই প্রশ্নে লিপুর জবাব– ‘এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে কেউ অবসর না নিলে (নির্বাচকদের) বিবেচনায় থাকে, যেটা বিসিবি সভাপতিও বলেছেন। ফিটনেস বা অন্য সমস্যা আছে কি না, আমরা সব ক্লিয়ারেন্স চাই।’
এর বেশি আলাপ বাড়াতে চাননি প্রধান নির্বাচক, ‘পাবলিকলি এত লেজেন্ডারি কাউকে না রাখার কারণ আলোচনা করা ঠিক হবে না। যারা আছেন তারা ক্যাপেবল (সক্ষম)। ঘরোয়াতে রান করেছেন।’ এদিকে, সম্প্রতি সাকিবের বোলিং অ্যাকশন বৈধ বলে রায় এয়েছে। তৃতীয় দফায় ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যামে দেওয়া পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ঘরোয়া প্রতিযোগিতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বোলিং করতে বাঁধা রইল না সাকিবের।
সাকিবের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদের ভেতর তেমন কেউই রান করতে পারেননি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। নাজমুল হোসেন শান্ত রান পেয়েছেন দ্বিতীয় ম্যাচে, এর বাইরে ব্যাটিং পারফরম্যান্স বললে কেবল তরুণদের নামই আসবে। বাংলাদেশও ভারত-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিশ্চিত করে। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচটিও পরিত্যক্ত হয়ে যায় বৃষ্টির কারণে।