মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ীতে জমিতেই পচে নষ্ট হচ্ছে টমেটো। মাঠজুড়ে টকটকে লাল টমেটো থাকলে কৃষক তা তুলে বিক্রি করছেন না। লাল পাকা টমেটোগুলো ঠুকরে খাচ্ছে শালিকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। গাছেই ঝুলছে পাখির খাওয়া টমেটো।
উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের পদ্মা পাড়ের বিস্তীর্ণ জমিতে পাকা টমেটো নষ্ট হতে দেখা গেছে। কিছু কিছু জমির টমেটো কৃষকরা নিরাশ হয়ে নিচ্ছেন আড়তে। আড়তদাররাও বেশি টমেটো আড়তে পাঠাতে নিষেধ করছেন । ফলে অনেক টমেটো জমিতেই পেকে নষ্ট হচ্ছে।
টমেটো চাষি রহিম বাদশা বলেন, ২৮ গন্ডা জমিতে টমেটো চাষ করেছি। এতে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। মাত্র ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করছি। এখনতো টমেটো বিক্রি হচ্ছে না। দিন দিন দাম কমছে।
কৃষক লিটন বলেন, ৫ পাখি জমিতে টমেটো চাষ করছিলাম। প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো টমেটোই বিক্রি করতে পারিনি। শুনছি আড়তে চার থেকে পাঁচ টাকা কেজিতে টমেটো বিক্রি হচ্ছে। টমেটো তুলে আড়তে নিতে যে খরচ হবে সেই খরচ পাওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, এই টমেটোগুলো দিপালী জাতের , বাহুবলী জাতেরও রয়েছে। কিছু কিছু জমিতে ব্র্যাকের টমেটো রোপণ করেছে। সব টমেটোর ফলনই ভালো হয়েছে। ভালো হলে কী হবে দামতো নেই। এ সমস্ত জাতের টমেটো চাষে অনেক বেশি খরচ হয়। ভাদ্র মাসে আমরা জমিতে বীজ বপন করেছি। তারপর জমিতে টমেটো গাছগুলো বড় হওয়ার সাথে সাথে বাঁশ গেড়ে গাছগুলোকে বেঁধে দিয়েছি।
কৃষক সুহেল বলেন, টমেটোর দাম নেই। টমেটো চাষ করে সব টাকা শেষ হয়ে গেছে। এখন যে নতুন করে অন্য জমিতে কিছু আবাদ করব সেই টাকা নেই। আমার অনেক জমি খালি পড়ে রয়েছে। লেবার নিয়ে যে চাষ করব সেই টাকা নেই।
এ ব্যাপারে টংগিবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বছর উপজেলায় আলু ছাড়া ৫০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন সবজির চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। আর বাম্পার ফলন হওয়ায় সরবরাহ বেড়েছে। যার কারণে দামও কমেছে।