বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জয়পুরহাট জেলা শাখার নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে মশাল মিছিল করেছে কমিটিতে স্থান না পাওয়া শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ৭টায় শহরের শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দান থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাটার মোড় হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি বোরহান উদ্দিন, আশরাফুল ইসলাম ও রিমু হোসেন। এ সময় শিক্ষার্থী শাকিল ইসলাম, শাহিন হোসেন, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি রিমু হোসেন বলেন, এই কমিটি করে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন করা হয়েছে। সদস্য সচিবের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিগত ১৬ বছরে যারা ছাত্রলীগের দালালি করেছে, ডামি নির্বাচনে সহায়তা করেছে, তাদের নিয়ে এই কমিটি দেওয়া হয়েছে। এতোই আকাল পড়েছে যে ছাত্রলীগ দিয়ে কমিটি দিতে হবে? প্রথম দিনের আন্দোলনে কারা ছিল, সেটা আপানারা দেখেন নাই? যে কমিটি দিয়েছে তা বাতিল করতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।
বোরহান উদ্দিন বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামে যারা ছিলাম তাদের কোনোভাবেই কমিটিতে রাখা এবং আমাদের জানানোও হয়নি। ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি। এটা হতাশার বিষয়। আমাদের ভাইয়েরা প্রথম থেকে আন্দোলন করে বিজয় পর্যন্ত ছিল তারা কেউ এ কমিটিতে নাই। আপনারা সেসময়কার ফুটেজ দেখেন। নতুন করে ঘোষণা করা এই অবৈধ কমিটি আমরা মানিনা। এই কমিটি বাতিল করতে হবে।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল জয়পুরহাট জেলা কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটি ঘোষণার পরেরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১২টায় শহরের শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে কমিটি বাতিলের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়। ওইদিন একই সময়ে জয়পুরহাট প্রেস ক্লাবে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, বিচারও ধর্ষকের প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটির নেতারা। সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা সংগঠনের নতুন কমিটির সব সদস্যদের নাম প্রকাশ করেন।
কমিটি নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ বলেন, জেলা কমিটি ঘোষণা নিয়ে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যারা আন্দোলনের সময় আমাদের সঙ্গে ছিল এবং পরবর্তী সময়েও যারা সব কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে তারাই আমাদের সঙ্গে আছে। এছাড়া যাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে পারিনি, আমরা তাদের নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।