ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা করার নির্বাহী এক আদেশে স্বাক্ষর করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে, দেশটির সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা হিসাবে ইংরেজিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বিষয়ে শিগগিরই তিনি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। তবে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের নির্দিষ্ট সময়ের বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানা যায়নি।
ফেডারেল পর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কোনও ভাষা নেই। নির্দিষ্ট কিছু রাজ্যের জন্য এই বিষয়টি সমস্যা তৈরি করেছে।
জনজীবনে স্প্যানিশ ভাষার ব্যবহার করা নিয়ে দেশটির টেক্সাস অঙ্গরাজ্যসহ অন্যান্য কিছু এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। ২০১১ সালে টেক্সাসের একজন সিনেটর দাবি করেছিলেন, সিনেটের শুনানিতে একজন অভিবাসী অধিকার কর্মী নিজ স্প্যানিশ ভাষায় নয়, বরং ইংরেজিতে কথা বলতে পারবেন।
টেক্সাসে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলা যৌক্তিক কি না তা নিয়ে কয়েক দশকের পুরানো বিতর্ককে নতুন করে জাগিয়ে তুলেছিল সেই ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের এই অঙ্গরাজ্য একসময় মেক্সিকোর অংশ ছিল। তারও আগে স্প্যানিশ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল টেক্সাস।
ভাষা নিয়ে এই সংকট যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অনেক বয়স্ক মেক্সিকান-আমেরিকানের জন্য বেদনাদায়ক হয়েছে; যারা ১৯৫০-এর দশকে সেখানকার স্কুলে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলার জন্য অনেকে শাস্তি পেয়েছিলেন বলেও ধারণা করা হয়।