দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটে ছয় দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। নতুন ওয়েল পাম্প স্থাপনের পর রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে এই ইউনিটে উৎপাদন শুরু হয়।
এই ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও দৈনিক ২০০-২২০ মেগাওয়াট বিদুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। যা জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। এটি চালু রাখতে দৈনিক ২২০০-২৩০০মেট্রিকটন কয়লা প্রয়োজন হয়।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে তৃতীয় ইউনিটটি চালু হলেও যা দুই দিন পর ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওয়েল পাম্প নষ্ট হওয়ার কারণে আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়েছিল।
এদিকে, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাত থেকে ১ নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। এ ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও সেটি থেকে প্রতিদিন ৬০-৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যা জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হচ্ছে। এটি চালু রাখতে ৮০০-৯০০ মেট্রিকটন কয়লা প্রয়োজন হচ্ছে। এতে করে বর্তমানে গড়ে দুটি ইউনিট থেকে ২৮৫ মেগাওয়াট বিদুৎ এই কেন্দ্রটি থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। যা উত্তরের লোডশেডিং অনেকাংশে কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন কর্তৃপক্ষ।
তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ছয় দিন বন্ধ থাকার পরে চায়না থেকে নতুন ওয়েল পাম্প এনে স্থাপনের পর তৃতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। যা থেকে ২০০-২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার কাজ শেষে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাত থেকে ১ নম্বর ইউনিটটি থেকে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। এ ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও সেটি থেকে প্রতিদিন ৬০-৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হচ্ছে। বর্তমানে গড়ে দুটি ইউনিট থেকে ২৮৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এই কেন্দ্রটি থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। এতে করে উত্তরাঞ্চলের লোডশেডিং কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।