জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৮ লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান দিয়েছে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৩ লাখ এবং জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে প্রত্যেক পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের তাদের হাতে চেক হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন এবং যারা আহত হয়েছেন, তাদের ঋণ আমরা কখনো শোধ করতে পারব না। গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া আহত শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ফি মওকুফ করেছি। যদিও এটি তাদের ত্যাগের কাছে অত্যন্ত নগণ্য।
তিনি আরও বলেন, দেশের নাগরিক বিশেষ করে যুব সমাজের প্রতি কোনো সরকার কত নির্মম হতে পারে, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার তা দেখিয়েছে।
তিন কলেজের সংঘর্ষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাস্তায় অযৌক্তিক আন্দোলনকারীদের কতজন ছাত্র আর কতজন অছাত্র তা চিহ্নিত করা প্রয়োজন। গতকালের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আমাদের শহীদদের যেন ভুলে না যাই, এর জন্য কলেজে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতি কর্নার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দুই হাজার তাজা প্রাণ এবং অসংখ্য আহত যোদ্ধাদের অঙ্গহানির বিনিময়ে আমাদের স্বৈরাচার শাসকের পতন ঘটেছে। আমাদের অভ্যুত্থানের গল্পগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের পাঠসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। আমরা যেন তাদের ভুলে না যাই, এজন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জুলাই-আগস্টের গণহত্যার গল্প পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করেছে।