ফরিদপুরে শাহাদাত মুন্সী (১৫) নামে এক ইজিবাইকচালক কিশোরকে হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদেরকে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ফরিদপুরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
নিহত শাহাদাত ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাপুরিয়া সদরদী এলাকার বেলায়েত মুন্সীর ছেলে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চৌধুরীকান্দা সদরদী গ্রামের আয়নাল শেখ (৩৬), স্বপন মুন্সী (৩৬) এবং আলামিন শেখ (৩৩)। রায় ঘোষণার সময় আলামিন শেখ আদালতে হাজির ছিলেন না। আদালতে উপস্থিত আয়নাল শেখ ও স্বপন মুন্সীকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শাহাদাত মুন্সী ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলা অটোস্ট্যান্ড থেকে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরদিন ১৩ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে তার মরদেহ পাওয়া যায় নগরকান্দার উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের বাসাগাড়ি গ্রামে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশের একটি ডোবায়। আসামিরা তার ইজিবাইক ছিনতাই করে তাকে গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ওইদিনই (১৩ জানুয়ারি) শাহাদাতের ভাই আবু সাঈদ বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামিদেরকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এ মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক মো. আতিয়ার রহমান তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ এ রায় দেন আদালত।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, ১৮৪০ সালের পেনাল কোডের ৩০২ ধারাসহ তৎসংলগ্ন ধারায় এ রায় দেওয়া হয়েছে। এই রায়ে প্রমাণ হয়েছে অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।