বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, যে কোনো মামলায় অপরাধীর ইনভলমেন্ট (সম্পৃক্ততা) থাকে। আন্দোলনের বিরুদ্ধে যারা অর্থ, পরামর্শ ও মিডিয়াতে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তাদের বিষয়ে তদন্ত হবে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘কমিশনার’স মিট দ্যা প্রেসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান জুলাইয়ের শুরু থেকেই বাংলাদেশের বাইরে। সাকিবের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যে কোনো মামলাতেই আইন অনুযায়ী এভিডেন্স (সাক্ষ্যপ্রমাণ) সংগ্রহ করা হবে৷ মামলা তদন্তে এভিডেন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ২২ আগস্ট ডিএমপির আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলায় দায়ের হয়েছে। সাকিবকে মামলার ২৮ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইতোমধ্যে কিছু পুলিশের নামে মামলা রুজু হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা একটি চলমান প্রক্রিয়া। তুলনামূলক সময় লাগতে পারে। বিভাগীয় ব্যবস্থার বিষয়টিও চলমান রয়েছে।
কেউ পলাতক কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মাইনুল হাসান বলেন, তাদের বিষয়ে এখনো আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত নেই।